স্কলারশিপ সংক্রান্ত পোস্ট – পর্ব ৪
.
তোমরা নিশ্চয় জানো যে বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে IELTS অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ।তাই আমি আজ তোমাদের IELTS সম্পর্কে বিস্তারিত বলব আশা করি কাজে লাগবে।
.
.
IELTS নিয়ে বিস্তারিত ৪ পর্বের পোস্ট দিব ইনসাআল্লাহ।আজকে থাকছে প্রথম পর্ব—-
.
আইইএলটিএস’ হচ্ছে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সনদ, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। IELTS (The International English Language Testing System)। যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয় তাদের অনেক দেশে স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষা কিংবা ভিসার আবেদন করতে ভালো আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হয়।
.
.
আইইএলটিএস পরীক্ষাপদ্ধতি দুই ধরনের, ‘একাডেমিক’ ও ‘জেনারেল’।স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের ‘একাডেমিক আইইএলটিএস’ টেস্টে অংশ নিতে হয়। যে কেউ এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।এ জন্য কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই 🙂 ।
.
তোমরা জানো কিনা জানি নাহ বিশ্বজুড়ে
১৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী উচ্চশিক্ষা ও চাকরির লক্ষ্যে প্রতিবছর আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ নেন 🙂 ।
.
.
স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশে ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর থাকা বাধ্যতামূলক। গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে টোফেলের চেয়ে অনেক এগিয়ে আইইএলটিএস 🙂 ।
.
☞ পরীক্ষা পরিচালনা
.
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপি অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে পরিচালনা করে আইইএলটিএস পরীক্ষা।এ পরীক্ষায় নীতি নির্ধারক কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হলেও বিশ্বব্যাপরী পরীক্ষা পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের কাছে তথ্য পৌছে দেওয়ার মূল ভূমিকা পালন করছে বিট্রিশ কাউন্সিল ও আইডিপি অস্ট্রেলিয়া। সারা বিশ্বে একই প্রশ্নপত্র ও অভিন্ন নিয়মে পরিচালিত হয় 🙂 ।
.
☞ কিছু ভুল ধারণা
.
অনেকেই মনে করেন আইইএলটিএস অনেক কঠিন একটি পরীক্ষা। আসলে এটি ভুল ধারণা। ব্রিটিশ কাউন্সিল সূত্র মতে, ইংরেজিতে মোটামুটি দক্ষ হয়েও এ পরীক্ষায় ভালো স্কোর সম্ভব। যদিও যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া কিংবা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যেভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষা পরিচালিত হয় বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয় 🙂 ।
.
.
কালকে সকাল ১০ টায় IELTS নিয়ে ২য় পর্বে এর পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনসাআল্লাহ।
.