Archives

All posts for the month January, 2016

ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং

Published January 24, 2016 by বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র

আইপিই (ইন্ড্রাসটিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন
ইঞ্জিনিয়ারিং) হয়তো এখনো বাংলাদেশের মানুষের
কাছে সিভিল, ইলেক্ট্রিক্যাল, কম্পিউটার কিংবা
মেক্যানিকাল মতো ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট খুব বেশি পরিচিতি পায় নি। আমার এই অল্প পরিসরে আমি অসংখ্য মানুষ পেয়েছি যারা দাঁত মুখ খিঁচিয়ে, ভুরু নাচিয়ে, বিশাল
ধরণের একটা প্রশ্নবোধক তৈরি করে তাকায়……
“এইডা আবার কী!”
একটু পেছনে ফিরে তাকাই, আমাদের মতো
উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার ধারা অনুযায়ী
সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয়গুলোর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং
ও ডাক্তারী শীর্ষে। রূঢ় হলেও অনস্বীকার্য
সামাজিক অবস্থান এবং চাকরি আর ভবিষ্যৎ-ই এখানকার
একমাত্র নিয়ামক। শীর্ষ মেধাবীদের আনাগোনা
থাকলেও বিগত কিছু বছরের হিসেব কিন্তু ওলট-পালট করে দেয় অনেক কিছুই, একজন বিবিএ কিংবা এমবিএ করা শিক্ষার্থী থেকে কিন্তু আক্ষরিক অর্থে একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছেলে কিংবা মেয়ে অনেক বেশি জানে, সমস্যাটা দাঁড়ায় অন্যখানে।
অনেক কিছু জানবার পরও যখন ইন্টারভিউ বোর্ডে
পাশাপাশি দু’জনকে আমরা পাই, দেখি চমৎকার স্মার্ট
বিবিএ/এমবিএ করা ছাত্র/ছাত্রীটি দুর্দান্ত
পারফরম্যান্সে হারিয়ে দিলো ইঞ্জিনিয়ারিং এর
মেধাবীকে। হয়তো এর পিছনের কারণ, আমরা
শিখি অনেক কিছুই, কিন্তু বলতে পারি না তার সিকি ভাগই,
কিন্তু তার তুলনায় সেই বিবিএ/এমবিএ করা মানুষটি
যতটুকুই জানুক সেটা প্রকাশে দুর্দান্ত ধরণের চৌকস,
আর চাকরী?? কার দিকে পাল্লা ভারী বলতে হয়
এখন?
আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের অনেক কিছুই
শেখানো হয়, শেখানো হয় কী করে মেশিন
তৈরি করতে হয়, কী করে মেশিন কাজ করে,
তবে সত্যি কথা হলো, আমাদের দেশে কিন্তু
বড়ো বড়ো মেশিন তৈরি করা থেকে বাইরে
থেকে সেগুলো কিনে এনে তার সাহায্যে
প্রোডাকশনের দিকেই জোর দেয়া হয়।
ভেঙ্গে বলতে গেলে আমাদের দেশের যারা
৫/১০ কোটি টাকা দিয়ে বাইরে থেকে একটা
মেশিন কিনে আনেন, তারা সেটার কমিশনিং (Setup)
এর জন্য বাইরে থেকেই সাহায্য পান। কিন্তু সেই
মেশিনটি ব্যবহার করে কী করে আমরা
প্রোডাকটিভিটি (উৎপাদনশীলতা) বৃদ্ধি করতে পারি,
সেটা কিন্তু পান না। কী করে একটা ফ্যাক্টরির লে-
আউট তৈরি করতে হয়, যাতে সবচেয়ে কম
Material Movement দিয়ে কী করে
প্রোডাকশন করা যায়। ঠিক কতজন লোক ব্যবহারে
Optimum খরচ হবে। ঠিক কী করে কাজ করলে,
প্রসেসগুলো ঠিক করলে আমরা কোয়ালিটি
বাড়িয়ে Product Defect কমাতে পারবো, সেটা
কেউ বলে না।
আর এখানেই আইপিই আলাদা, শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং
শেখানো না, শিক্ষাটাকে কী করে
আরেকজনের কাছে তুলে ধরতে হবে, কী
করে নিজেকে আরেকজনের সামনে
প্রেজেন্ট করতে হবে, কী করে তৈরি করতে
হবে দুর্ধর্ষ প্ল্যানিং, ইন্ডাস্ট্রির Process, Layout,
Manpower আর Limited Resource নিয়ে কী
করে দুর্দান্ত সেটাপ দিয়ে একটা অসাধারণ প্ল্যান
করে ফেলা যায় সেটাই আইপিই শেখায়। ইঞ্জিনিয়ারিং
আর ম্যানেজমেন্ট-এর ব্রিজ হিসেবে কাজ করে
আইপিই। আর সেই কারণেই আপনি যদি একজন
মানুষের মধ্যেই ইঞ্জিনিয়ারিং এর দুর্দান্ত কৌশল আর
ম্যানেজমেন্টের সুক্ষ্ণ হিসেব নিকেশ পেয়ে
যান, কেন আপনি আলাদা করে দুজন কে হায়ার
করবেন??
টিমওয়ার্ক এখন যেকোন ইন্ডাস্ট্রির এক
অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেকোন প্রজেক্টে কাজ
করতে হলে এগিয়ে আসতে হবে নিজস্বভাবনা,
বোধ আর আইডিয়া নিয়ে, আর টিমকে লিড করার
ক্ষমতা না থাকলে কিন্তু অনেক কিছুই বিফলে মারা
যাবে! টিমের মধ্যে কাজটাকে ভাগ করে নেয়া,
কে কোন অংশটা করবে, প্রজেক্টের ম্যানেজ
কে করবে, কী করে টাইমলাইনের মধ্যে কাজটা
নামানো যাবে, এইসব ভাবনা কিন্তু একজন
টিমলিডারকেই ভাবতে হয়, আর একজন ইঞ্জিনিয়ার
ছাড়া এইসব ভাবনা কার উপর সঁপে দিয়ে শান্তি পাওয়া যায়
বলো?? আর সে যদি হয় আইপিই ইঞ্জিনিয়ার??
তাহলে তো সোনায়-সোহাগা!! স্মার্টনেস আর
মানুষজনের সাথে যত বেশি ইন্টারঅ্যাকটিভ হতে
পারবে, যত নিজেকে express করতে শিখবে
ততই তুমি ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরিহার্য হয়ে উঠতে
পারবে! Production Process Control, Lean Sigma,
Quality Control, Zero Defect, Just In Time, Time
Study, Supply Chain Management, Safety
Engineering, Ergonomics….বাকি সবাই যখন জব
লাইফে যেয়ে এইসব শব্দের সাথে পরিচিত হয়,
তখন আইপিই ইঞ্জিনিয়াররা মুখ টিপে হাসে……
“এগুলো তো পড়েই এসেছি!!”
আমাদের আইপিই ইঞ্জিনিয়াররা আছে BATB,
Unilever, Nestle, Chevron, Lafarge Surma,
Grameen Phone, Banglalink সহ অসংখ্য
মাল্টিন্যাশনালে আছে আমাদের আইপিই ইঞ্জিনিয়াররা।
দেশের বাইরে আছে Yahoo!, Intel এর মতো
বিশাল সব ইন্ডাস্ট্রিতে, Optimization এর দুর্দান্ত সব
যাদু(বাকিদের কাছে নাকি তাই মনে হয়!) দেখিয়ে
ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অন্য উচ্চতায়!!
তাই আমন্ত্রণ রইলো আইপিইতে আসার। কারন, IPE
= Innovative, Proactive, Efficient!

লিখেছেন-
Mahmood Al Bashir
Lecturer, Dept of MPE, AUST
Ex-Team Leader, BATB
IPE, BUET, 05 Batch
এবং
Ineen Sultana
Lecturer, Dept. of MPE, AUST
IPE, BUET, 06 Batch.

আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং

Published January 24, 2016 by বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র

প্রথমেই বলে নেই আর্কিটেকচার কিন্তু প্রকৌশল
নয়। আবার আর্কিটেকচার কোন সাবজেক্ট ও নয়।
তাহলে আর্কিটেকচার কী? এর উত্তর হয়ত ১০
বছর এই ক্ষেত্রে থেকেও বুঝা যাবে না। ছাত্র
হিসাবে আর্কিটেকচার যতটা পড়া তার চেয়ে বড় হল লাইফ স্টাইল। সেটা কেমন? এটাও বলার নয় দেখে অণুকরণ করার নয় নিজে নিজে গড়ে নেবার ব্যাপার। সেটা কীভাবে কেন কোথায় এর উত্তর কেবল যিনি কাজটি করছেন তিনিই দিতে পারেন।
তাহলে আর্কিটেকচারে কী পড়ায়? বিল্ডিং ডিজাইন
করা? নিশ্চয়ই। তবে সেটা সামান্য পার্ট মাত্র।
আর্কিটেক্ট কী করে? বিল্ডিং ড্রইং করে। সেটা
সবাই পারে না ঠিকই। কিন্তু সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বা নিয়ম জানা
সাধারণ মানুষ ও পারে। তবে কেন এদের দরকার?
আর শুধু কী এই ই করে? প্রশ্ন অনেক উত্তর
সামান্য। এসবই নিজের এক্সপ্লোর করার ব্যাপার।
এটুকু বলে দেয়া যায় একজন আর্কিটেকচার
ছাত্রের জন্যে জীবন,প্রকৃতি আর মানুষ হল পড়ার
বিষয়। এর সাথে সম্পর্কিত যা যা হতে পারে সবই
এখানে পড়ানো হয়। ডিজাইন করা আর তাকে
ডেভেলপ করা এটাই মূল কাজ। ডিজাইন যে কোন
বিষয় এর হতে পারে।
চাকরী নিয়েও কিছু বলা যাবে না। এমনকী তুমি
আর্কিটেক্ট হবে কী না তাও না। বেতন বা এরকম
ব্যাপার নিয়ে কথা বলা বোকামি। তবে যারা ভাব যে “না
খেয়ে মরতে হবে” তাদের দ্বিধাহীন কন্ঠ্যে
শুধু বলতে পারি “না।”
এবার আশা যাক কী কী চাই।
অসীম ইচ্ছা, পরিশ্রমী মানসিকতা, Ambition, fitness
আর নিজেকে প্রকাশ করার ইচ্ছা ও ক্ষমতা। এটা
পর্যাপ্ত জ্ঞান সম্পন্ন যে কেউ স্বীকার কচার
শেষ করা সবচেয়ে কঠিন। আর কী যোগ্যতা
লাগে? ভাল আকতে পারাকরবে যে জগতে যত
বিদ্যা আছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান হয় তার মাঝে
আর্কিটে? হলে ভাল। না হলে খারাপ তাও না। তবে
অল্পতে তুষ্ট না হওয়া, মূলের বা সাধারণের বাইরে
চিন্তা করা এবং কখনো হার না মানার মত মন দরকার।
শিক্ষার প্রসেসটা খুব দ্রুত না। আবার অল্প সময়ে
অমানুষিক পরিমান চাপ নিতেও হয়। সুতরাং যা সবচেয়ে
আগে চাই তা হল “ আমি আর্কিটেকচারই পড়তে চাই”
এই ইচ্ছা। আমি আবারো বলছি আর্কিটেকচার
তোমাকে কোথায় নিয়ে যাবে আমি জানি না,
কীভাবে যাবে তাও না। তবে যেতে হবে
নিজেকে আর রাস্তাটা যথেষ্ট কঠিন।
ভাল কিছু কথা না বললে কেউ সেই ইচ্ছাটা পাবে না।
আর্কিটেকচারের শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব,
চিন্তাধারা, জীবন যাপন থেকে জীবিকা সব এই
বিষয়ের blessing বলা যায়। জিজ্ঞাসা করলেই
জানবে এই ডিপারর্টমেন্ট যেখানেই আছে
সত্যিকারের আনন্দ আর জীবন সেখানে খুজে
পাওয়া যাবেই। জানা ও শেখার পরিধিতে যে কোন
মানুষের সাথে পাল্লা দিতে পারে একজন
আর্কিটেক্ট। ধরা যাক একটা স্কুল ডিজাইন করতে
হবে। বাচ্চা থেকে টিন এজার দের মানসিকতা,
শিক্ষকের শিক্ষাদানের উপায় থেকে শুরু করে
দেশের ও বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে দিনের পর
দিন কাজ করে যেতে হয়। যেটা অনেক শিক্ষাবিদ
ও করেন না অনেক সময়। এবং কাজটা সহজ নয়। ৫
বছর প্রায় ২০০ ক্রেডিট এর মাঝে ইতিহাস থেকে
ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিকাল থেকে সিভিল
সব যেমন আছে ডিপার্টমেন্টের নিজস্ব
সাবজেক্ট এর বৈচিত্র যে কাউকে মুগ্ধ করে
দেবে। যেমন শুধু গান এর আসল স্বাদ বোঝার
জন্যে ১.৫ ক্রেডিট এর কোর্স আছে এতে।
এটা শুধুই সামান্য চিত্র দিচ্ছে কেবল। এমন অনেক
মজায় অনেক ব্যাথায় ভরা এক জীবনের নাম
আর্কিটেকচার।এখানে বন্ধু মানে পরিবার হয়ে
ওঠে, জীবন মানে প্রজেক্ট হয়ে
যায়,অস্বাভাবিক খুব স্বাভাবিক হয়ে যায় আর শেষে
সৃষ্টির অর্থ খুজে বের করা মাঝে মাঝে যায়। এটাই
মজা, এটাই উৎসাহ। আর্কিটেকচার শুধুই তাদের যারা এটা
করতে চায়।

(সংগৃহীত)

গ্লাস এন্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং

Published January 24, 2016 by বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র

আধুনিক বিশ্বের চলমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে
আলো থেকে আলোকিত করতে স্বীকৃত
অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার সিরামিক। দেশের
ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখে ২০১১-১২ সেশনে
রুয়েটেই প্রথম এই বিভাগের শুভসূচনা ঘটে, যদিও
বুয়েটে এই বিষয়ে এম.এস.সি কোর্স চালু
আছে।
এখন আসা যাক, গ্লাস এন্ড সিরামিকে কি কি বিষয়
পড়ানো হয়। প্রথমেই বলি, বিশ্বে মেটাল আর
প্লাস্টিক ছাড়া যা কিছু আছে সবই সিরামিকের
অন্তর্ভুক্ত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা নেটে
সার্চ দিলে দেখা যাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে
সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং নামে সাবজেক্ট খোলা আছে,
কিন্তু বাংলাদেশে গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক বিষয়টি
একসাথে দেওয়া হয়েছে বিশ্বে শুধুমাত্র
গ্লাসেরই ব্যবহার প্রচুর এই কারণে, যাতে করে
এটার উপর আলাদা গুরুত্বারোপ করা হয়।
এক কথায় যদি বলতে চাই, গ্লাস এন্ড সিরামিকে কি
পড়ানো হয় তাহলে বলতে হবে গ্লাস এন্ড সিরামিক
সম্পর্কীয় পণ্য উৎপাদনের প্রক্রিয়া বা ইংরেজিতে
যেটাকে বলে প্রোডাকশন প্রসেস । এছাড়া
বিভিন্ন রকমের গ্লাস এবং সিরামিকের গঠন প্রণালী
এবং তাদের ডিজাইন ও স্ট্রাকচার ডেভলপ ও এনালাইসিস
সম্পর্কে বেশ ভালো একটি ধারণা দেওয়া হয় । এই
সাবজেক্টে সৃজনশীলতার অনেক সুযোগ
রয়েছে । প্রোডাকশন প্রসেস কিভাবে সহজ
করা যায় তা একজন সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার এর দায়িত্ব । যত
প্রসেস সহজ হবে উৎপাদিত জিনিসের দাম ও তত
কম হবে।
অনেকের হয়তবা একটা ধারণা রয়েছে যে সিরামিক
মানেই চীনামাটির থালা-বাসন, মগ, টাইলস। মজার ব্যাপার
হচ্ছে যে আমার নিজেরও কিন্তু প্রথমদিকে এমনটি
ই ধারণা ছিল। কিন্তু সত্যি বলতে, সিরামিকের
ব্যাবহারের ক্ষেত্রে এগুলো খুবই সামান্য উদাহরণ
। আমাদের মোবাইল সিমকার্ড তৈরি করা হয় সিরামিক
উপাদানের উপর রেখে, এছাড়া মেমোরি কার্ড কিংবা
হার্ড ডিস্কের যে কোয়ালিটি ডেভলপ সব কিছুই
নিয়ন্ত্রণ করতে হয় একজন সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার কে
। এছাড়া রকেট, প্লেন এসবে তো সিরামিকের
ব্যবহার আছেই।
এবার আসি জব সেক্টর প্রসঙ্গে। প্রথমেই বলে
নেই অনেকের ভেতর একটা ভুল ধারণা রয়েছে
যে নতুন সাবজেক্ট যেহেতু তাই হয়তবা জব
সেক্টরে তেমন একটা ডিমান্ড নাই। এটা সবার একটা
ভুল ধারণা। মুলত ভার্সিটি গুলোতে নতুন বিষয় খোলা
হয় দেশের ব্যাপক চাহিদার কথা বিবেচনা করে।
গ্লাস এন্ড সিরামিক পড়ে জব করার প্লেস হচ্ছে
বিভিন্ন গ্লাস এবং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি । আমাদের
বাংলাদেশে ছোট-বড় সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ এর
উপর গ্লাস এবং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি আছে ।তাই জবের
জন্য আলাদা করে চিন্তা করার কোন অবকাশ নেই।
এছাড়া এটা যেহেতু প্রোডাকশন প্রসেস
রিলেটেড তাই তুমি ইচ্ছে করলেই প্রোডাকশন
সেক্টরে সুইচ করে চলে যেতে পারো।
এছাড়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেও কিন্তু একজন গ্লাস
অ্যান্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার ইচ্ছে করলেই বড় ভুমিকা
রাখতে পারে। সুতরাং, বুঝতেই পারছ যে জব
ফিল্ডে এই বিষয়ের চাহিদা। একটা বিষয় তোমাদের
বলে রাখি যে, যেহেতু রুয়েটেই একমাত্র এই
ডিপার্টমেন্টে বি এস সি কোর্স কমপ্লিট করানো
হয় তাই চাকরীর ক্ষেত্রে তোমার পূর্বসূরি হবে
কিন্তু তোমার ই ক্যাম্পাসের বড় ভাইয়ারা আর
বিদেশে তো আরও চাহিদা রয়েছে ।
তারপরে তুমি তোমার দক্ষতা দিয়ে আরও ভাল
পজিশনে যাবার সুযোগ তো আছেই। কারণ পড়াশুনা
শেষ করে একজন গ্লাস এন্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার
প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে জব করবে
আর এই সেক্টরে দক্ষতা বেশি করে দেখা হয়
সিজিপিএ নয় খুশির খবরহচ্ছে- আমাদের দেশের
ইন্ডাস্ট্রি গুলো থেকে উৎপাদিত সিরামিক পণ্য এখন
বিদেশ ও রপ্তানি হচ্ছে দেশের চাহিদা মিটিয়ে।
শেষে শুধু এটুকুই বলব- দিন যত যাচ্ছে গ্লাস এন্ড
সিরামিকের ব্যবহার ততই বাড়ছে এবং নিকট ভবিষ্যতে
দেশের অন্যতম চাহিদা সম্পন্ন সাবজেক্ট এটি
হতে যাচ্ছে এই বিষয়ে সন্দেহ নেই। সবাই কে
সিরামিকের বর্ণীল জগতে স্বাগতম।

লিখেছেন:
আব্দুল মোবিন
গ্লাস এন্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং
২য় বর্ষ, রুয়েট।

কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

Published January 24, 2016 by বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র

বিজ্ঞানের আধুনিকতম বিষয়গুলোর মধ্যে একটি
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। এই ক্ষেত্রটি প্রতি
মুহূর্তেই আরও বিকশিত হচ্ছে আর যুক্ত হচ্ছে
নতুন নতুন গবেষণা আর কাজের ক্ষেত্র।
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কাজ মূলত কি? অনেকের
ই একটি ভ্রান্ত ধারনা আছে যে কেমিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ারিং আর কেমিস্ট্রি মোটামুটি একই ক্যাটাগরির।
একজন কেমিস্ট এর মূল কাজ হল ল্যাবে।
অন্যদিকে আমাদের কাজ হল প্রধানত ইন্ডাস্ট্রি
গুলোতে। একজন রসায়নবিদ যেই প্রক্রিয়া
ল্যাবের বিকারে ঘটান একজন ইঞ্জিনিয়ার সেই
কাজকেই শিল্পক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে
কেমিক্যাল প্ল্যান্টে প্রয়োগ করেন।
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত Physics, Chemistry,
Life Science (biology,microbiology,biochemistry)
এর সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমন্বয় ঘটিয়ে
অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাজনক উপায়ে কাঁচামাল থেকে
ব্যাবহারযোগ্য সামগ্রী তৈরির প্রক্রিয়া। অনেকের
ধারণা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়িয়ারদের কাজ ল্যাবে।
একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং একজন কেমিস্ট এর মধ্যে
পার্থক্য টা এখানেই। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ
মূলত ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে। প্রধান কাজগুলো হল-
Design, manufacture and operating plants
Development of new or adopted products
আধুনিক বিজ্ঞানের একটা বিশাল সেক্টর কেমিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ারিং। পড়াশোনার সুযোগ যেমন বিশাল
তেমন রয়েছে গবেষণার ও অনেক সুযোগ।
এখানে পাবে Heat Transfer, Mass Transfer এর
মত ইন্টারেস্টিং বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ
তেমনি পাবে সুবর্ণ এক ভবিষ্যতের হাতছানি। আর
যদি ভাল না লাগে তবে দেখে নাও কেমিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ারিং এর উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রগুলো। ইচ্ছে
থাকলে তুমিও হয়ে যেতে পারো একজন
Nuclear Engineer তৈরি করতে পারো পারমানবিক
বোমা (:P) অথবা হতে পারো biomedical
Engineer. গবেষণা করতে পারো জটিল জিনগত
রোগ বা এইডস/ক্যান্সার/ডায়াবেটিস নিয়ে। আবার
চাইলে চলে যেতে পারো pharmaceuticals এ বা
টেক্সটাইল সেক্টরেও। এসবের সূচনা হবে
কেমিক্যাল এর হাত ধরেই। তবে দেখে নাও
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিস্তৃত ক্ষেত্র
Biochemical Engineering
Biomedical Engineering
Chemical Reactor Engineering
Computational Fluid Dynamics
Corrosion Engineering
Electrochemistry
Environmental Engineering
Food and Nutition Science
Metallurgy
Mineral Processing
Nanotechnology
Neuclear Reprocessing
Oil exploration
Oil Refinery
Pharmaceuticals
Plastics, polymers
Process contol, design, development
Paper Technology
Textile Engineering
Water Technology
এতগুলো বিষয়ে গবেষণার সুযোগ অন্য কোন
বিষয়ে পাবে না। আর চাকরি? যতদিন পৃথিবীতে শিল্প
কারখানা থাকবে ততদিন তোমার চাহিদা থাকবেই।
বাংলাদেশ শিল্পক্ষেত্রে দিনদিন যতই অগ্রসর হবে
এর কাজের ক্ষেত্র ততই বিস্তৃত হবে। আর
দেশের বাইরেও রয়েছে কেমিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা। AlChE এক জরিপ
অনুযায়ী ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একজন
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গ্রাজুয়েট এর বার্ষিক
বেতন $110000. পাশাপাশি দেশেও রয়েছে
বিস্তৃত ক্ষেত্র। অনেক জায়গায় ই শোনা যায়
দেশে নাকি চাকরি নাই। তাহলে দেখে নাও তোমার
ভবিষ্যতের চাকরির সুযোগগুলো-
সার কারখানা
পেপার মিল
সুগার মিল
গ্লাস ও সিরামিক শিল্প
পেইন্টস কারখানা
ঔষধ শিল্প
ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানি
টেক্সটাইল কোম্পানি
কসমেটিকস কোম্পানি
পেট্রোলিয়াম
পারমাণবিক প্ল্যান্ট
সিমেন্ট কারখানা
তেল উত্তোলন ও পরিশোধন
ট্যানারি শিল্প
বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ
আর দেশে এই বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ খুব
অল্প কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
যে কারণে প্রতি বছর কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর
গ্র্যাজুয়েট সংখ্যা খুব বেশী থাকে না। এটা
দেশের চাকরির বাজারে তোমার জন্য প্লাস
পয়েন্ট হিসেবে গন্য হতে পারে।
মূলত সকল ধরণের শিল্প প্রতিষ্ঠানেই আমাদের
চাহিদা। খাবার চিপস থেকে শুরু করে কম্পিউটারের
মাইক্রোচিপ তৈরি হবে তোমার হাত দিয়েই। বড় বড়
মিলস চলবে তোমার হাতে। তোমার হাতেই
নিয়ন্ত্রিত হবে, তোমার উদ্ভাবিত পথেই উৎপাদনে
যাবে কোটি কোটি টাকায় গড়া একটি প্রতিষ্ঠান। এত বড় চ্যালেঞ্জ নিতে তুমি তৈরি তো?

লিখেছেন:
Alauddin Al Azad
কেমিকৌশল, বুয়েট – ২০১১।

নেভিল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং

Published January 24, 2016 by বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র

Naval Architecture and Marine Engineering
(NAME) বুয়েটে তার যাত্রা শুরু করে ১৯৭১ সালে
(http://www.buet.ac.bd/name/alpha/) । বিষয়টি
অনেকের কাছে আজও অজানা।বর্তমানে
বুয়েটে NAME এর আসন সংখ্যা ৫৫। তাছাড়া আরও
চারটি আসন রয়েছে যা আর্মি-নেভি অফিসার (অফিসার
হলেও ভাইয়েরা অনেক বন্ধুভাবাপন্ন) দের জন্য
সংরক্ষিত।
বুয়েটের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান চাহিদার
পরিপ্রেক্ষিতে MIST তে এটি চালু হয়েছে, আর
KUET এ এটি চালু করার প্রক্রিয়া চলছে। বুয়েটে
২০১১-১২ সালে প্রথম NAME গ্রহণকারীর
মেধাক্রম ছিলো ৩১২, ২০১০-১১ সালে যা ছিল ৩৪৮।
এবার আসা যাক NAME এর job sector গুলোর দিকে।
বিদেশে এটি পরিচিত Maritime Engineering বা
Ocean Engineering বা Offshore Engineering
হিসেবে। মূলত জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সাথে
সম্পর্কযুক্ত হলেও এর ক্ষেত্র আরও অনেক
বিস্তৃত। এখন বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আসা
যাক।বর্তমানে বাংলাদেশে ছোট-বড় ১৫ টি (http://
en.wikipedia.org/wiki/
List_of_shipbuilders_and_shipyards ) shipyard
আছে। তাদের মধ্যে আনন্দ শিপইয়ার্ড,
ওয়েস্টার্ন মেরিন , খুলনা শিপইয়ার্ড আন্তর্জাতিক
মানের জাহাজ প্রস্তুত করে তাদের দক্ষতা পরমান
করেছে।
বাংলাদেশ ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ
প্রস্তুতকারী হিসেবে সম্মান লাভ করে যখন একটি
ডেনিশ কোম্পানিকে ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলারের
জাহাজ হস্তান্তর করে। তাছাড়া কিছুদিন আগে খুলনা
শিপইয়ার্ড তাদের যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশ নেভিকে
হস্তান্তর করে।তবে অধিকাংশ শিপইয়ার্ড দেশীয়
নৌযান প্রস্তুতির সঙ্গে জড়িত।
এবার আসা যাক job facilities এর কথা।আগে বলে
রাখছি ২০১০-১১ সেশন পর্যন্ত আসন সংখ্যা ৩০ ছিল।
বর্তমানে এ সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৫ করা হয়েছে।
বর্তমানে ছোটবড় ১২ টির মত শিপইয়ার্ড তৈরি করার
প্রক্রিয়া চলছে। তাই ৪-৫ বছর পর সহজেই job
facility থাকবে আশা করা
এবার আসা যাক বেতনের কথায়। স্বাভাবিকভাবেই
শুরুতে বেতন একটু কম দিয়ে শুরু হলেও অল্প
সময়ের মধ্যে তা মারাত্মক হারে বাড়ে। আর
সবচেয়ে বড় কথা হল বাংলাদেশে বর্তমানে
সবচেয়ে বড় ক্রমবর্ধমান শিল্পের অন্যতম এটি।
বাংলাদেশ সরকার জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে Thrust
sector ঘোষণা। আগ্রহ থাকলে নির্দ্বিধায় বেছে
নিতে পারো NAME কে।

(collected)

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

Published January 24, 2016 by বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র

পুরকৌশল- প্রকৌশলবিদ্যার অন্যতম শাখা। সঙ্গত
কারনেই সারা পৃথিবীর প্রকৌশল বিদ্যায় আগ্রহী
শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় থাকে এই শাখাটি।
স্বপ্ন যাদের দেশ গড়ার তাদের জন্যই পুরকৌশল।
চাহিদারকথা বলতে গেলে বলতে হয় কিছু কিছু
বিষয়ের চাহিদা সেই প্রাচীন কালেও ছিল, এখনও
আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। পুরকৌশল তেমনি একটি
বিষয়। অনেকের ধারনা এই বিষয় পড়লে ঘুষ
খেতে হয় কিংবা এই প্রকৌশলীদের বেতন নাই।
কিন্তু ভাল মন্দ সম্পূর্ণ নিজের কাছে। কেউ যদি
দুর্নীতি করতে চায়, যে কোন জায়গা থেকেই তা
করতে পারে। ভাল থাকতে চাইলে যে কোন
জায়গাতেই ভাল থাকা সম্ভব। আর বেতনের কথা বলা
যায় skill থাকলে এই বিষয়ে যত উপরে যাওয়া যায়,
অন্য কোন বিষয়ে তা সম্ভব না, তা দেশেই হক
আর বিদেশেই হোক।
আমেরিকার এক সমীক্ষায় দেখা গেছে
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর পর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার দের
গড় বেতন সবচেয়ে বেশি। তবে তার মানে এই
নয় যে সবাই high salary র job পাবে, এজন্য
তোমাকে সেই পর্যায়ের skill develop করতে
হবে। এটা শুধু পুরকৌশল নয়, সকল বিষয়ের
ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
কি কি পড়ানো হয় –
পুরকৌশল একটা ব্যাপক বিষয়। তবে interest আর
পরিশ্রম থাকলে সহজেই ভাল করা সম্ভব। এইখানে
প্রধানত যেই বিষয় টা পড়ানো হয় তা হল mechanics,
এছাড়া ড্রয়িং, designing এর উপর ও ভাল দখল থাকা চাই।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রধান শাখা চারটি
I. Structural Engineering
II. Transportation Engineering
III. Geotechnical Engineering
IV. Environmental Engineering
এছাড়া Water Resource কেও পুরকৌশলের একটা শাখা
বলা যায় বাংলাদেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট
প্রকৌশল ভার্সিটি তে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ
আছে।
কাজের ক্ষেত্র –
I. সড়ক ও জনপদ
II. গণপূর্ত বিভাগ
III. Real estate company
IV. নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
V. পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন multinational
company
VI. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও বিভিন্ন
multinational NGO
পরিশেষে বলা যায়, যাদের পুরকৌশলে আগ্রহ
আছে তারা নির্দ্বিধায় এ পেশায় আসতে পার। ভবিষ্যৎ
খুব খারাপ হবে না ইনশাল্লাহ।
সবার জন্য শুভ কামনা।

লিখেছেন:
হোসাইন শোভন ,
পুরকৌশল বিভাগ, ২য় বর্ষ, বুয়েট।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

Published January 24, 2016 by বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা যন্ত্রকৌশল পৃথিবীর
অন্যতম বৃহত্তম ও বিস্তৃত ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্র।
অনেকে মজা করে একে “যন্ত্রনা”কৌশলও বলে
থাকে এটার পক্ষে যুক্তি হলো “ভালো জিনিস
অর্জন সহজসাধ্য নয়”
মেকানিক্যাল নিয়ে সবচেয়ে প্রচলিত রিউমার
গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মেকানিক্যাল কঠিন +
দেশে মেকানিক্যালের চাকরী নাই।
কোন ইঞ্জিনিয়ারিং ই সোজা না। শুধু শুধু মেকানিক্যাল
কে দোষ দিয়ে লাভ আছে? তবে এটা ঠিক
মেকানিক্যালে অনেক বেশি টপিক পড়তে হয়,
অন্যদের তুলনায় একটু বেশি চিন্তা ভাবনা মাথার ভেতর
রাখতে হয়। ১২ বছর পড়াশোনা করার পর যারা এই
পর্যন্ত আসছ, তাদের জন্য এইটুকু করা কঠিন কিছু না।
চাকরির ব্যাপারে যেটা বলবো, সেটা হলো,
শোনা কথায় কান না দিয়ে জব প্রোভাইডারদের
সাইট গুলোতে একটু ঘুরে আসো। অধিকাংশ
চাকরিতে তে লেখা BSc in ME/EEE বা BSc in ME/
IPE মানে, মেকানিক্যাল পড়লে তুমি অনেক EEE +
IPE রিলেটেড জব এও এপ্ল্যাই করতে পারবা। এইটা
একটা advantage। দেশে মেকানিক্যালের চাকরি
নাই, কথা টা ১০০% ভুল। আর, বিদেশে তো সোনায়
সোহাগা।
“২০০৯ সালের হিসাব মতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৬
লক্ষ প্রকৌশলী কর্মরত আছেন। তারমধ্যে প্রায়
২৩৯০০০ (১৫%) যন্ত্র প্রকৌশলী যা
পুরকৌশলীদের(২৭৮০০০) পর দ্বিতীয় সর্ব বৃহৎ
বিভাগ। ২০০৯ সালের পরিসংখ্যান মতে প্রতি দশকে
৬% হারে যন্ত্রপ্রকৌশলীদের কর্মসংস্থান বাড়ছে,
যাতে প্রত্যেক স্নাতক ডিগ্রীধারী
প্রকৌশলীদের প্রাথমিক বেতন হল প্রতি বছরে
৫৮,৮০০ মার্কিন ডলার । যন্ত্রপ্রকৌশলীদের গড়
বেতন প্রতি বছরে ৭৪,০০০ মার্কিন ডলার, যা
সর্বোচ্চ প্রতি বছরে ৮৬,০০০ মার্কিন ডলার এবং
সর্বনিম্ম ৬৩,০০০ মার্কিন ডলার”
(ওপরের এই প্যারাটুকুর দায়দায়িত্ব উইকিপিডিয়ার –
http://bn.wikipedia.org/wiki/যন্ত্র_প্রকৌশল)
তবে, শর্ত প্রযোজ্য। তোমাকে এগুলার
যোগ্য হতে হবে। পাশ করলেই আমেরিকা
তোমাকে ডেকে নিয়ে চাকরি দিবে – এইটা কিন্তু
বলা হয় নাই। এখন আসি মেকানিক্যালে মূলত কি কি
পড়ানো হয় + তুমি কোন কোন সেক্টরে চাকরি
করে “চাকরি নাই” কথা টা ভুল প্রমানিত করতে পারো
Applied Mechanics
Fluid Engineering
Heat Transfer
Tribology
Aerospace & Automobile
Energy Conversion
Fuels & Combustion Technologies
Nuclear Engineering
Power Engineering
Advanced Energy Systems
Solar Engineering
Petroleum
Ocean, Offshore & Arctic Engineering
Environment & Transportation
Noise Control & Acoustics
Rail Transportation
Solid Waste Processing
Engineering & Technology Management
Manufacturing Engineering
Pressure Vessels & Piping
Systems & Design
Fluid Power Systems & Technology
Electrical & Electronic Packaging
Robotics
আরো অ-নে-ক কিছু। এতকিছু পড়ে + এত চাকরির
সুযোগ থাকার পরেও যারা বলে চাকরি নাই, তাদের
জন্য সমবেদনা। পৃথিবীর প্রথম পেসমেকার যখন
বানানো হয়, তখন সেই টীমে মেকানিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ারও ছিলো পেসমেকারের ম্যাটারিয়াল
প্রপার্টি, পালস, ইফোর্ট – এগুলা এ্যানালাইসিস করার
জন্য। তাইলে বোঝো ঠেল্যা তবে এইগুলো
তো আর একদিনে পড়বা না। ৪ বছর ধরে পড়বা।
আর, অনেক টপিক পড়ানো হয় দেখে উচ্চ শিক্ষার
সুযোগও মেকানিক্যালে বেশি।
যদি তুমি ফিজিক্স ভালোবাসো, যদি প্র্যাক্টিকাল
ওয়ার্কে তোমার বেশি মজা লাগে, যদি মেকানিক্যাল
রিলেটেড কোন সেক্টরে তোমার একটু
হলেও ইন্টারেস্ট থাকে, তাহলে তোমার জন্য
আমার পরামর্শ – মেকানিক্যাল পড়। তবে,
মেকানিক্যালে নিজেকে মানিয়ে নেয়া অনেক বড়
একটা ফ্যাক্টর। যদি মন থেকে ইচ্ছা না করে,
তাহলে প্লিজ মেকানিক্যালে এসো না, নিজেও
বিপদে পড়বা, অন্যদেরও বিপদে ফেলবা। প্যাশন
সব ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে, স্পেশালি
মেকানিক্যালের জন্য অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর।
চুপি চুপি আরেকটা কথা বলি। দেশে কিন্তু গণহারে
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় না, পড়াও যায় না।
বুয়েট (১৮০), কুয়েট(১২০), রুয়েট(১২০), চুয়েট
(১৩০), IUT (মেকানিক্যাল + কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং,
MCE নামে পরিচিত) (৪৫), AUST (৫০)
এটাও কিন্তু একটা সুবিধা। তো? অপেক্ষা কেন?
যন্ত্রকৌশলের মন্ত্রমুগ্ধ দুনিয়াকে বেছে নাও
তোমার জীবন ও জীবিকার সঙ্গী হিসাবে।

শুভকামনায়:
Ratul Anick Paul
ME, KUET – 2011

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং

Published January 24, 2016 by বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র

সিএসই পড়তে গেলে যেই জিনিসটা খুবই দরকারী
সেটা হলো ক্রিয়েটিভিটি, প্যাশন, লিডারশীপ
কোয়ালিটি এবং অফকোর্স মাথায় রাখতে হবে
সবসময় সিএসই অন্য যে কোন সাবজেক্টের
চাইতে আলাদা। এটার সাথে অনেকটা চারুকলা,
আর্কিটেকচারের মিল আছে। যে কোন
সাবজেক্টের ইন্ডাস্ট্রীতে চাকরী পেতে
হলে লাগে ভালো রেজাল্ট, মামা চাচার জোড়,
রুপচাদা খাটি সয়াবিন তেল এবং টিকে থাকতে গেলে
চালিয়ে যেতে হবে পলিটিক্স এবং তেল। এগুলাই
উন্নতির চাবিকাঠি।
কিন্তু সিএসইতে তোমার রেজাল্ট যদি ২ পয়েন্ট
সামথিং থাকে (আউট অফ ৪), একগাদা ড্রপ কোর্স
থাকে, হাতে সার্টিফিকেটও না থাকে তবুও তুমি
ইন্ডাস্ট্রী কাপিয়ে দিতে পারবে যদি তোমার
ক্রিয়েটিভিটি, প্যাশন, লিডারশীপ থাকে। কারণ এই
তিনটা জিনিসের কম্বিনেশনে তুমি একটা জিনিসে বস
হয়ে যেতে পারবে যেটাকে বলা হয়
প্রোগ্রামীং। এখন একটু ভেঙে বলি এ তিনটা
জিনিস কেন দরকার।
ক্রিয়েটিভিটি : তোমার কি রাতের বেলায় আইডিয়ার
ঠেলায় ঘুম আসেনা? তাহলে তুমি সফটওয়ার
ডেভলপমেন্টে ভাল করবে। কারণ ইন্ডাস্ট্রী
ক্রিয়েটিভিটি চায়। দিন যাচ্ছে আর মানুষের কাছে
চাহিদা বাড়ছে নতুন নতুন টেকনোলজির। সুতরাং নতুন
কিছু বানানোর মত ক্ষমতা তোমার থাকতে হবে।
তোমার মাথায় সবসময় নতুন কিছু ঘুরপাক খেতে
হবে। নাহলে একাডেমিক প্রজেক্ট করার সময়
তোমাকে দিশেহারা হয়ে ঘুরতে হবে। ফাইনাল
ইয়ারে থিসিসের টপিক খুজে পাবেনা যেটা খুবই
দু:খজনক ব্যাপার ৩ বছর পড়াশোনা করার পর।
প্যাশন : নতুন কিছু বানানোর ক্ষমতা থাকলেই হবেনা
সেই সাথে ইচ্ছাটাও থাকতে হবে। ক্রিয়েটিভ
লোকজন সবচাইতে বেশী হতাশায় ভোগে।
সেই হতাশা তোমাকে কাটিয়ে উঠতে হবে। সব
বাধা ভেঙে দিয়ে কিছু করতে হলে প্যাশন থাকা
জরুরী এবং সেই প্যাশনটা অবশ্যই সিএসইর জন্যই
হতে হবে। সিএসইতে পড়ে পলিটিক্স নিয়ে প্যাশন
থাকলে সিএসইর কোন আউটকাম আসবেনা এটা
কনফার্ম।
লিডারশীপ : A Leader is a by born Problem
Solver. সিএসই পড়ার মানেই হলো নতুন নতুন
প্রবলেম ম্যাথমেটিকসের লজিক এপ্লাই করে,
ফিজিক্সের রুল দিয়ে সলভ করা। যে রিয়েল
লাইফে ভাল প্রবলেম সলভার সে খুব ভালভাবে
জানে একটা প্রবলেম কিভাবে সলভ করতে হয়।
তাছাড়া একটা যে কোন লেন্থি কাজ আজকে
কিভাবে শুরু করলে ১০ দিন পরে এটার ফল কি হবে
এটা লিডার ছাড়া কেউ বলতে পারবেনা। লিডারশীপ
যার মধ্যে থাকে তার মধ্যে ক্রিয়েটিভিটিও
অটোমেটিক চলে আসে।
তবে সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে তোমাকে
ভালবাসতে হবে সাবজেক্টটাকে। স্বপ্ন দেখতে
হবে এবং স্বপ্ন সত্যি করার জন্য এনাফ গাটস থাকতে
হবে। সাবজেক্টটার প্রতি ভালবাসা না থাকলে ভাল করা
সম্ভব না।
একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই একজন বড়ভাইয়ের।
উনি শাবির ৯৭/৯৮ ব্যাচের মনির ভাই। পাগল টাইপের
মানুষ। ক্লাশ করতেননা। দিনরাত নতুন নতুন সফটওয়ার
বানাতেন। অনেক ড্রপ কোর্স ছিলো। রেজাল্ট
৩ এর নীচে। উনার ব্যাচের ৪/২ পরীক্ষার পরে
উনার অনেক কোর্স বাকী ছিলো। সার্টিফিকেট
ছাড়াই উনি চাকরী পেয়ে গেলেন মাইক্রোসফট
এ। জাফর স্যার উনাকে আমেরিকা থেকে আনিয়ে
কোর্সগুলা কমপ্লিট করিয়েছিলেন। কথায় কথায়
স্যার একবার মনির ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলেন
যে তোমার রেজাল্ট, সার্টিফিকেট নিয়ে এরা কিছু
বলেনা? মনির ভাই উত্তর দিলেন, “না। ওরা ভয় পায়
আমি যদি তাহলে চাকরী ছেড়ে দেই।”

(লিখেছেন সুদীপ্ত কর – CSE 4/2, SUST)

ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং

Published January 23, 2016 by বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র

সবাই নাম শুনেছে। ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড
ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং। তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক
প্রকৌশল। যা ইলেক্ট্রন নিয়ে আলোচনা করে।
নামের মধ্য দিয়েই সাবজেক্ট সম্পর্কে হালকা
ধারণা পাওয়া যায়। সরাসরি চলে যাচ্ছি সাবজেক্ট
রিভিউতে।
সবচেয়ে পুরনো এবং প্রচলিত ইঞ্জিনিয়ারিং
বিষয়গুলোর মধ্যে ইইই অন্যতম আভিজাত্যের
অধিকারী। আশেপাশের চারদিকে
ইলেক্ট্রনিক্সের বিপ্লব দেখে নিশ্চয়ই এই
সাবজেক্ট পড়ুয়াদের গুরুত্ব বা চাহিদা আগ বাড়িয়ে
বলে দিতে হবে না?
তোমার এইচএসসিতে প্রিয় বিষয় কি ছিলো? উত্তর
যদি হয়ে থাকে Math বা Physics তাহলে তোমার
EEE পড়া নিয়ে কোন ভয় নেই। তুমি নিঃসন্দেহে
এখানে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারবে।
তোমার যদি Equation Solve করতে মজা লাগে,
ফিজিক্স সেকেন্ড পেপারের বিদ্যুতের
চ্যাপ্টারগুলো যদি তোমার কাছে অসহ্য না লাগে,
তাহলে ইইই তোমাকে হতাশ করবে না কোনদিন।
সার্কিট নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে মজা লাগে? রোধের
সমান্তরাল সন্নিবেশ, হুইটস্টোন কার্শফের অঙ্ক
করতে ভালো লাগে? আবারো বলবো ইইই নাও।
তোমার যদি উদ্ভাবনী ক্ষমতা থাকে, আর থাকে
লেগে থাকার ইচ্ছা তবে তুমি ইইই পড়ে অনেক
বড় কিছু করে দেখাতে পারবে। প্রকৌশলিক
invention সবচেয়ে চমকপ্রদভাবে দেখানোর
উপযুক্ত জায়গা হলো ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড
ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
আপাতদৃষ্টিতে দেখতে যেমন মনে হয়, ইইই
আসলে তেমন ছোট পরিসরের কোন
সাবজেক্ট না। এর পরিধি ব্যাপক, ক্ষেত্র অসীম।
ইইই এর সাবডিসিপ্লিনগুলো লক্ষ্য করো-
1.Power
2.Electronics
3.Telecommunication
4.Computers
Power সেক্টরের ব্যাপারটা মনে হয় সবাই
এমনিতেই বুঝতে পেরেছে। যারা বিদ্যুত উৎপাদন
আর সরবরাহের দায়িত্বে থাকে। এই সেক্টরের
চাহিদা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই মুহুর্তে
প্রচুর। চাহিদা পুরনের জন্য প্রতি বছরই নতুন নতুন
বিদ্যুত কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। ভবিষ্যতে নিউক্লিয়ার
পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনাও চলছে
সরকারের উচ্চ পর্যায়ে। আর এই সেক্টরের
পুরো দায়িত্বই থাকে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারদের
হাতে। যারা নিজেকে একজন Power management
engineer হিসেবে দেখতে চাও, তারা
নিঃসঙ্কোচে EEE নিতে পারো।
Electronics নিয়েও সবাই হালকা পাতলা কিছু জানে।
Resistor, Capacitor, Inductor এসবের নাম তোমরা
শুনে এসেছ। এখনকার সময়ে তোমরা যত ডিভাইস
দেখ, তার বেশিরভাগই ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট দিয়ে
ডিজাইন করা। স্মমার্টফোন, আইপ্যাড, নোটপ্যাড,
ল্যাপটপ সবগুলোই ইলেক্ট্রনিক্সের অবদান।
Microcontroller এর নাম হয়তো কেউ কেউ শুনে
থাকবে। যা রোবটিক্স নিয়ে পড়াশোনার ব্যাপক
ইচ্ছা যাদের, তাদের জন্য microcontroller হলো
একেবারে শুরুর ধাপ। তবে হ্যা, এদিক দিয়ে
আগাতে হলে অবশ্যই পরিশ্রমী আর উদ্যমী
হতে হবে।
যাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা বেশি, বিস্তর ইচ্ছা আছে
এই rapidly running টপিক নিয়ে পড়াশোনা করার, তার
জন্য EEE’র দরজা সদা উন্মুক্ত।
Telecommunication, যোগাযোগ নিয়ে
কাজকারবার। মোবাইল ফোন কোম্পানিতে মাঝের
কয়েক বছর ইইই ইঞ্জিনিয়ারদের বিশাল চাহিদা ছিলো।
আমাদের মত দেশে নতুন নতুন নেটওয়ার্ক,
টাওয়ার, কভারেজ তৈরিসহ সমগ্র সিস্টেম
ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে আছে বিপুল সংখ্যক
ইইই ইঞ্জিনিয়ার। শুধু এক Grameenphone এই এখন
কাজ করছে প্রায় ৫ হাজার প্রকৌশলী, যার
বেশিরভাগই ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স
ব্যাকগ্রাউন্ডের। যত নতুন নতুন টেকনোলজি
আসবে, অত চাহিদা Expand করবে। যারা নিজেকে
একজন প্রতিষ্ঠিত Telecommunication Engineer
হিসেবে দেখতে চাও, তাদের জন্য অবশ্যই EEE.
Computer আসলে এমন এক ব্যাপার যাকে কোন
কিছু থেকেই আলাদা করা যাবে না। ইইই থেকে
পড়ে পরবর্তীতে Software Engineer হয়ে
গিয়েছে এমন উদাহরনও আছে অনেক। তুমি যদি
প্রোগ্রামিং ভালো বোঝ, কম্পিউটারে ভালো
দখল থাকে, তবে ইইই পড়েও তুমি খুব সহজেই
CSE সাইডে Divert হতে পারো। যাকে যা suit
করে আরকি!!!
ইইই পড়েছ বলে যে তুমি প্রোগ্রামার হতে
পারবে না বা সফটওয়্যার বানাতে পারবে না এমন ধারণা
পুরোপুরি ভুল। তোমার যদি Electronics এর পাশাপাশি
সফটওয়্যার নিয়েও ঘাটাঘাটি করতে ইচ্ছে করে
তাহলে তুমি সহজেই ইইই নিতে পারো। এখানে এই
সুযোগ প্রচুর।
চাকরির বাজার নিয়ে আমি কোন কথা বলবো না। শুধু
বলবো EEE হলো একটা Everlasting Subject.
যতদিন পৃথিবী টিকে থাকবে অতদিন এর ডিমান্ড
কমবে না। দেশে থাকতে পারলে ভালো, যদি তা
সম্ভব না হয়, তোমার জন্য আছে বাইরে যেয়ে
পড়াশোনা করার অফুরন্ত ক্ষেত্র। দেশে
বিদেশে সবজায়গাতেই তোমার সম্মানজনক
অবস্থান থাকবে। চাকরি নেই, হাজার হাজার স্টুডেন্ট
হয়ে গেছে, এমন শোনা কথায় কান দিতে
যেয়ো না। তোমার যদি যোগ্যতা আর মেধা
থাকে, তবে EEE পড়ে তোমাকে একদিনও বসে
থাকতে হবে না। তুমি ঠিকই তোমার Deserving
পজিশনে যেতে পারবে।
আর স্যালারি? এটাও বলবো না। ইন্টারনেটে সার্চ
দিলেই জানতে পারবে। আমার নিজের মতামত
হলো স্যালারির উন্মাদনার চেয়ে বিষয়টার প্রতি
আকর্ষন থেকেই ইইই তে আসা উচিত।
তোমাদের সবার জন্য রইলো শুভকামনা।

লিখেছেন –

শায়খুল ইসলাম
ইইই, বুয়েট – ২০১১

পড়া মনে রাখার টিপস্

Published January 23, 2016 by বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র

পড়া মনে রাখার টিপস:

অনেক সহজে সবকিছু মনে রাখার ইচ্ছে আমাদের সবারই আছে । কিন্তু জানিনা কিভাবে তা সম্ভব। আসো, জেনে নিই ।

আমাদের মস্তিস্ক এক বিচিত্র তথা জটিল কারখানা এবং এর কাজ করার ক্ষমতা অপরিসীম । একে কাজে লাগাতে হলে তোমাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে । খুব সহজ; তবে নিয়মিত চর্চার প্রয়োজন রয়েছে ।

আমরা আমাদের মস্তিস্কের অতি সামান্য অংশই মাত্র ব্যবহার করে থাকি । শতকরা হিসেবে মাত্র ৫% থেকে ৭% । বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানী তথা মেধাবী ব্যক্তিগণ সর্বোচ্চ ১৫% থেকে ১৮% মস্তিস্ককে কাজে লাগাতে পেরেছেন । বাকি বিশাল অংশ অলস বসে থাকে । এই বিশাল অলস মস্তিস্ককে কাজে লাগাতে পারলে মানুষ কি অসাধ্যই না সাধন করতে পারবে; একবার ভেবে দেখো ।

যাক, এবার আসল কথায় আসি ।

মনে রাখার টিপস্—-

১) নিজের উপর বিশ্বাস রাখো । সহজ কথায়,
“আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে” ।

২) এখনই কাজ শুরু করো, এখনই ।

৩) ঘুমের সময় নির্ধারণ করতে হবে এবং তা করতে হবে তোমার “বায়োলজিক্যাল ক্লক”
অনুযায়ী । নিয়মিত ও যথেস্ট ।

৪) সকাল হচ্ছে উত্তম সময় পড়ালেখা মনে রাখার । আরও অধিক উত্তম সময় হচ্ছে, সূর্যোদয়ের এক ঘন্টা পূর্বে ।

৫) প্রথমে শব্দ করে পড়তে হবে । এরপর ইচ্ছে
হলে শব্দহীন ভাবে পড়তে পারো ।

৬) প্রথমে সম্পূর্ণ বিষয়টি একবার/দু’বার
মনযোগ সহকারে পড়ে তারপর দু’তিন লাইন
করে মুখস্ত করো ।

৭) একটানা অনেকক্ষণ পড়তে হলে মাঝখানে
বিরতি দেয়া উত্তম । এক কিংবা দু’ঘন্টা পর
পর অন্ততঃ পাঁচ মিনিট বিরতি দিতে হবে । এ
সময় একটা গান শুনতে পারো কিংবা সটান
শুয়ে পড়তে পারো ।

আর যদি তুমি ধর্মে বিশ্বাসী হও তাহলে তোমার ধর্ম নিয়ে ভাবো এবং মুসলমান হলে আল্লাহর “জিকির” করো ।

৮) পছন্দের তালিকায় মিস্টি জাতীয় খাবার
রাখো । চিনির শরবত, সাথে লেবু । কিংবা শুধু
লেবুর শরবত । গ্লুকোজ পানিও পান করতে
পরো । সাবধান ! ডায়াবেটিক থাকলে
অবশ্যই এসব পরিহার করো । “স্যালাইন” কখনোই খাবে না । খাবার তালিকায় সবুজ
শাকসব্জি, ফলফলাদি রাখা ভালো । স্বাভাবিক
পুস্টিকর খাবার খেতে চেস্টা করো । ধূমপান
পরিহার করো ।

৯) অল্প হলেও প্রতিদিন কিছু না কিছু পড়ো।

১০) কম হলেও প্রতিদিন অন্ততঃ ৩০ মিনিট
হালকা শরীরচর্চা করো ।

১১) প্রতিদিন অন্ততঃ ৫/৭ মিনিট মন খুলে
হাসো ।

১২) অযথা কথা পরিহার করো ।

১৩) অতিরিক্ত রাত করে ঘুমোতে যাবে না ।

১৪) পড়াতে মন না বসলেও প্রথম প্রথম অনিচ্ছা সত্ত্বেও পড়তে বসো ।

১৫) নিয়মিত স্ব স্ব ধর্ম অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করো।

একমাস চেস্টা করে দেখো । কাজে না আসলে
ঐ একমাসের পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে
দেখো কোথাও কোন প্রকার ফাঁকি আছে কিনা ? নিজকে ফাঁকি দেবে না।

ইন-শাহ-আল্লাহ, পড়াশুনা ভালো হবে। তোমার জন্যে শুভ কামনা।

লিখেছেন:

Md. Nazmul Haque, Department Of Mathematics, Comilla University. Mobile: 01737-101388 Email: nazmulhaque.120413@gmail.com Facebook: www.facebook.com/nazmul120413

Md. Nazmul Haque, Department Of Mathematics, Comilla University.
Mobile: 01737-101388
Email: nazmulhaque.120413@gmail.com
Facebook: http://www.facebook.com/nazmul120413